WELCOME TO MY BLOG

সউদী রাজপরিবার-এর প্রকৃত পূর্বপুরুষ হচ্ছে ইহুদী

Link : সউদী রাজপরিবার: কে তাদের প্রকৃত পূর্বপুরুষ? সত্যিই কি সউদী রাজ পরিবার “আনজা বিন ওয়াইল” গোত্রের সদস্য, যা তারা দাবি করে থাকে? তারা কি প্রকৃতপক্ষে ইসলাম ধর্মের অনুসারী? আসলেই কি তারা আরব বংশোদ্ভূত? উপরের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর সউদী রাজ পরিবারের অনেক দাবির উপর কলঙ্ক আরোপ করবে এবং যুক্তির
দ্বারাঅনেক মিথ্যা উদ্ধৃতি খণ্ডন করবে।
 অপরদিকে মুনাফিকরা তাদের বিবেক বুদ্ধি বিক্রি করে দিয়ে, প্রকৃত সত্য গোপনকরে সউদী রাজ পরিবারের
মিথ্যা ইতিহাস রচনা করেছে। উচ্ছিষ্টভোগী কয়েকজন সাংবাদিক এবং ঐতিহাসিকসামান্য কিছু আর্থিক আনুকূল্যের কারণে সউদী রাজ পরিবারের বংশানুকূলের পরিচয়কে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বংশের সঙ্গে যুক্ত করেছে।

নাউযুবিল্লাহ! এ সকল মিথ্যাতথ্য প্রদানকারীরা বলতে চায় এই সউদী শাসকরা হচ্ছে পৃথিবীতে আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে মনোনীত খলীফা।এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে, এ সকল তোষামোদির মূল কারণ হচ্ছে সউদী রাজপরিবারের অপরাধ, নৃশংসতাকে জায়িযকরার লক্ষ্যে সমর্থন আদায় করা, যাতে তাদের সিংহাসন অটুট থাকে এবং তাদের স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগগুলো যেনহাতছাড়া হয়ে না যায়। অথচ তাদের এ সকল কর্মকাণ্ড, স্বৈরাচারী মানসিকতা ইসলামের প্রকৃত বিশ্বাসের পরিপন্থী। ইসলাম ধর্মে রাজতন্ত্রের কোন সুযোগ নেই। কোন ব্যক্তি বা তার পরিবারের যে কোন সদস্যের চাপিয়ে দেয়া শাসনব্যবস্থা হচ্ছে রাজতন্ত্র, যা সাধারণ মানুষের অধিকারকে দমিয়ে রাখে এবং রাজার স্বৈরাচারী এবং স্বেচ্ছাচারী শাসনেরবিরুদ্ধে যে কোন সরব বক্তার বাক রুদ্ধ করে। কুরআন মজিদে এ সকল রাজাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে “রাজা-বাদশাহরা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে, তখন তাকে, বিপর্যস্ত করে দেয় এবং সেখানকার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গকেঅপদস্থ করে। তারাও এরূপ করবে।” (সূরা নমল : আয়াত- ৩৪) অথচ এই সউদী রাজ পরিবার কুরআন মজিদ-এর আয়াত শরীফকে প্রকাশ্য উপেক্ষা করে আবার দৃঢ়তার সাথে মিথ্যাদাবিও করে যে, তারা হচ্ছে কুরআনুল কারীমের সঠিক অনুসারী। সউদী সরকারের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞা আছে,রেডিও, টেলিভিশনে কুরআন শরীফ-এর সূরা নমলের ৩৪ নম্বর আয়াত শরীফ যেন তিলাওয়াত করা না হয়। শুধুতাই নয়, যে কোন প্রকাশনায়, জার্নালে, লেখায় এই আয়াত শরীফ-এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সউদী রাজপরিবার ভীত যে, এই আয়াত শরীফ-এর তিলাওয়াত এবং প্রচারণা তাদের রাজতন্ত্রের ভিত নাড়িয়ে দিতে পারে। কারা এই সউদী? এদের শেকড় কোথায়? এবং তাদের আসল উদ্দেশ্য কি? সউদী রাজ পরিবারের সবাই ভালভাবেই অবগত যে, বিশ্বের সকল মুসলমানগণ জেনে গেছে তাদের মূলে রয়েছেইহুদী রক্ত। বিশ্বের সকল মুসলমান, তাদের রক্তাক্ত অতীত এবং বর্তমানের কদর্য এবং নিষ্ঠুর অত্যাচারের ইতিহাসওজেনে গেছে। বর্তমানে ইসলামের তথাকথিত লেবাস পরে (সুন্নতী পোশাক নয়) তারা প্রাণপণে তাদের ইহুদী অস্তিত্বঢাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ কারণে বংশানুক্রমে তারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারপর্যন্ত পৌঁছেছে-এই দাবি প্রমাণের জন্য যথেষ্ট অপচেষ্টাও চালাচ্ছে। তারা ভুলে গেছে বা উপেক্ষা করছে যে, ইসলাম কখনই শুধু বংশ পরিচয়কে প্রাধান্য দেয় না। কুফরী করলে কেউ নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলের অন্তর্ভুক্ত থাকে না। ইসলাম মানুষেরঈমান, আমলকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আল্লাহ রব্বুল আলামীন কুরআন মজীদ-এ ইরশাদ করেন “হে মানবজাতি,আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্তকরেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উনার কাছে সেই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিকপরহিযগার। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ, সব কিছুর খবর রাখেন।” যে কোন ধর্মত্যাগী বা কাফির নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেসম্পৃক্ততার কথা দাবি করতে পারে না। হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু- যদিও তিনি ছিলেন আবিসিনিয়ারঅধিবাসী এবং পরাধীন; কিন্তু ইসলামের কারণে তিনি ছাহাবীর মর্যাদা পেয়েছিলেন। বিপরীতে আবু লাহাব কুফরীরকারণে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চাচা হবার পরেওতার কোনো মর্যাদা নেই। ইসলামে কোন পক্ষপাতিত্ব নেই। মানুষের তাক্বওয়া, পরহিযগারীর উপর তার মাক্বাম ওমর্যাদা। কার কতটা বিত্ত, বৈভব বা কে কোন্‌ রাজবংশের তার মাধ্যমে ইসলাম কাউকে মর্যাদা দেয় না। এই সউদী রাজ পরিবারের প্রকৃত পূর্বপুরুষ কে? ৮৫১ হিজরী সনের কথা। আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের একদল লোক একটি কাফিলা তৈরি করে ইরাকের উদ্দেশ্যেযাত্রা করে। আল-মাসালিক ছিল আনজা গোত্রের শাখা। এই কাফিলার উদ্দেশ্য ছিল ইরাক থেকে খাদ্যশস্য এবংঅন্যান্য সামগ্রী ক্রয় করে এনে নজদে সরবরাহ করা। সেই কাফিলার প্রধান ছিল শামী-বিন-হাতলুল। কাফিলা যখনবসরায় পৌঁছে, তখন খাদ্যশস্যের এক ইহুদী বড় ব্যবসায়ীর সাথে দলের লোকজন সাক্ষাৎ করে। সেই ইহুদী ব্যক্তিটিছিল মোরদাখাই বিন ইব্রাহীম বিন মোসেহ। কোন কোন প্রাচীন ইতিহাসে ইহুদী মোরদাখাইকে মানি বিন রাবিয়া আলমুরাইদি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মোরদাখাই-এর বংশধরেরা ম্রুদা গোত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। সেই ইহুদীব্যবসায়ীর সাথে দর কষাকষির সময় ইহুদী ব্যক্তিটি প্রশ্ন করে “আপনারা কোথা থেকে এসেছেন?” উত্তরে তারাবলেন, আমরা আনজা গোত্রের এবং আল-মাসালিক সম্প্রদায়ভুক্ত। আল মাসালিক সম্প্রদায়ের কথা শুনেই সেই ইহুদীব্যবসায়ী আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের উপস্থিত সবাইকে আবেগাপ্লুত হয়ে মুয়ানাকা করতে শুরু করে এবং বলে সেওমূলত আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের তবে সে বসরায় এসে বসবাস করছে। তার পিতার সঙ্গে আনজা গোত্রের কয়েকজনসদস্যের ঝগড়া বিবাদের ফলে সে এখন বসরায়। এই বানানো গল্প বলার পর পর সে-ই ইহুদী ব্যবসায়ী তার ভৃত্যকে সমস্ত গম, খেজুর, অন্যান্য খাদ্য দ্রব্যসমূহের বস্তাউটের পিঠে চড়াতে বললো। সেই সুদূর ইরাকে আনজা গোত্রের এবং আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের লোকজন তাদেরসম্প্রদায়ের একজন এত উদার ব্যক্তি পেয়ে বেশ গর্ব অনুভব করলো। তারা সেই ইহুদীর সকল কথাই বিশ্বাসকরলো। যদিও সে মাসালিক সম্প্রদায়ের ছদ্মবেশে ছিল একজন ইহুদী। কিন্তু খাদ্যশস্যের একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ীহওয়াতে সে সহজেই সবার কাছে বিশ্বস্ত হতে পেরেছিল। যখন সেই কাফিলা খাদ্যশস্য বোঝাই করে নজদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে সে সময় সেই ইহুদী ব্যবসায়ী তাদেরকাফিলার সঙ্গী হতে চাইলো। সে তার মাতৃভূমিতে ফিরে যাবার জন্যে আকুল ইচ্ছা প্রকাশ করলো। তার এইঅভিপ্রায়ের কথা শুনে কাফিলার সবাই তাকে চরম উৎসাহে অভিনন্দন জানালো। সেই ছদ্মবেশী ইহুদী, কাফিলারসাথে নজদে এসে উপস্থিত হল। নজদে এসে শুরু হয় তার ভিন্ন রকমের কার্যকলাপ। সে তার নিজস্ব কিছু লোক দিয়ে নিজের সম্পর্কে অনেকপ্রোপাগান্ডা শুরু করে এবং ধর্মীয় অনেক বিষয়ে নিজের মনমত ফতওয়াও দিতে থাকে। সেই সুবাদে কিছু ভক্তওজুটিয়ে ফেলে। কিন্তু সে সময় আল-কাসিমে বসবাসরত একজন বড় আলিম ও বুযূর্গ ব্যক্তি হযরত শায়খ সালেহসালমান আব্দুল্লাহ আল তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক সেই ইহুদী বাধাগ্রস্ত হয়। মুসলমানের ছদ্মবেশে সেইইহুদীর প্রচারিত বহু ফতওয়ার বিরুদ্ধে তিনি চরম প্রতিবাদ করেন। হযরত শায়খ সালেহ সালমান আব্দুল্লাহ আলতামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি নজদ, ইয়েমেন এবং হিজাজেও তালিম দান করতেন। উনার প্রচেষ্টায় সেই ইহুদীকে(বর্তমান সউদী রাজ পরিবারের পূর্ব পুরুষ) আল-কাসিম থেকে আল-ইহসাতে বিতাড়িত করেন। নতুন এলাকায় এসেএই ইহুদী (মোরদাখাই) তার নাম পরিবর্তন করে হয় মারক্বান বিন দিরিয়া এবং আল-কাতিফের নিকট বসবাস শুরুকরে। সেখানে এসে, সেখানকার অধিবাসীদের মধ্যে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঢাল সংক্রান্তএকটা মিথ্যা গল্প প্রচার করা শুরু করে। গল্পটা এ রকম- “মক্কার কাফিরদের সাথে মুসলমানদের যখন উহুদ পাহাড় প্রান্তে যুদ্ধ হয়, সেই উহুদের যুদ্ধে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি ঢাল মুবারক এক কাফিরের হস্তগত হয়।পরবর্তিতে সেই কাফির ব্যক্তি সেই ঢাল মুবারক বিক্রি করে দেয় ইহুদীদের বনু-কুনাইকা গোত্রের কাছে যা তারাপবিত্র সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করে আসছে। এভাবে সে ইসলাম ধর্মের প্রতি ইহুদীদের ধর্মীয় সহানুভূতির কথাবোঝাতে চাইতো। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি হিসেবেও সে নিজের অবস্থান বেদুইনদের মধ্যে শক্ত করে নেয়। সেমুসলমানের ছদ্মবেশে ইহুদীদের পক্ষে কাজ করতে থাকলো। ইহুদী মোরদাখাই বা মারক্বান বিন দিরিয়া আল-কাতিফের নিকট দিরিয়া শহরে বসবাস শুরু করে। সে মনে মনে আরব ভূখণ্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উচ্চাশাপোষণ করতো। তার আশা পূরণের লক্ষ্যে, মূল পরিকল্পনা গোপন করে আরব বেদুইনদের তার পক্ষ সমর্থনের জন্যআবেদন নিবেদন করতে থাকে এবং নিজেই সেখানকার স্ব-ঘোষিত রাজা বলে দাবি করে। তার এই অপচেষ্টাকালে,আরবের আজামান গোত্র এবং বনু খালিদ গোত্র একত্রে এই ইহুদীর আসল পরিচয় পেয়ে তার পরিকল্পনা নস্যাৎ করারলক্ষ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তারা দিরিয়া আক্রমণ করে দখল করে নেয়। কিন্তু সেই সুচতুর ইহুদী সেখান থেকে পালিয়েযায়। বর্তমান সউদী রাজপরিবারের পূর্বপুরুষ এই ইহুদী মোরদাখাই বা মারক্বান বিন দিরিয়া আল-আরিদের নিকট আলমালিবিদ-গুশাইবা নামক একটি খামারে আশ্রয় গ্রহণ করে। বর্তমানে একে বলা হয় আল-রিয়াদ। এই ইহুদী সেইখামারের মালিকের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে। সেই খামারের মালিক ছিল অত্যন্ত দয়ালু একজন মানুষ, সে তখনইতাকে আশ্রয় দান করেন। কিন্তু এক মাসের কম সময়ের মধ্যেই সেই কুচক্রী দুষ্ট ইহুদী, খামারের মালিকসহপরিবারের সবাইকে হত্যা করে। কিন্তু সে প্রচার করে তারা লুটেরা কর্তৃক নিহত হয়েছে এবং সে খামার দখল করেনেয়। সে দিরিয়া নামক যে স্থান থেকে বিতাড়িত হয়েছিল সেই নাম অনুসারে এই স্থানেরও নাম আল-দিরিয়ারাখে। (কিছু সত্য গোপন করে কোন কোন ইতিহাসে লেখা আছে– ৮৭৩ হিজরী (কাছাকাছিঅর্থাৎ ১৪৪৬ সালেরদিকে ইহুদী মোরদাখাইয়ের ম্রুদা গোত্র দিরিয়া নামক স্থানে বসবাস করতে থাকে। আসলে মোরদাখাই পরিবারইম্রুদা গোত্র নামে পরিচিত। ইহুদী মোরদাখাই সেখানে তার আত্মীয় ইবনে দির কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে আলরিয়াদেবসবাস শুরু করে বলেও কথিত আছে। ইবনে দির ছিল সেখানকার শাসক এবং বহু ক্ষেতখামারের অধিকারী। বলাহয়, ইবনে দির তাকে আল মুলাইবিদ এবং গুশাইবা নামে দুটি খামার দান করে; যা সে পরবর্তিতে আলদিরিয়া নামেনামকরণ করে।) বর্তমান সউদী রাজপরিবারের পূর্বপুরুষ সেই ইহুদী মোরদাখাই সেখানে “মাদাফ্‌ফা” নামে একটি অতিথিশালা খুলেএবং তার চারপার্শ্বে কিছু মুনাফিক জড়ো করে। সেই মুনাফিকরা প্রচার করতো এই ইহুদী হচ্ছে একজন বড় আরববণিক। সেখান থেকে সে তার মূল শত্রু  হযরত শায়খ সালেহ সালমান আব্দুল্লাহ আল তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহিউনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং আল-যালাফি নামক শহরের একটি মসজিদে উনাকে শহীদ করে। হযরত আব্দুল্লাহআল তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর শাহাদাতের পর মোরদাখাই নিজেকে যথেষ্ট মুক্ত ও নিরাপদ মনে করে সেইদিরিয়া গ্রামে বসবাস করতে থাকে। ইহুদী মোরদাখাই সেখানে অনেক বিয়ে করে এবং তার সকল সন্তানের সেআরবীয় নাম রাখে। তার বংশধররা সেখানে সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পরবর্তিতে সউদী সম্প্রদায় হিসেবেপরিচিত হতে থাকে। তার বংশধররাও আরবজাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে থাকে। তারা অনেক কৃষিক্ষেত্রঅবৈধভাবে দখল করে নেয় এবং যারাই তাদের দুষ্ট পরিকল্পনার বিরোধিতা করতো তাদের তারা হত্যা করতো।তারা তাদের সাফল্যে পৌঁছবার লক্ষ্যে গোপনে বিভিন্ন প্রকার দুরভিসন্ধি প্রয়োগ করেছিল। যারা এই ইহুদী পরিবারেরসঠিক ইতিহাস বলতে বা লিপিবদ্ধ করতে চেয়েছিলো তাদেরকেই ঘুষ প্রদান করা হয়েছিল। বিশেষত সেই এলাকারনেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নারী ও অর্থের মাধ্যমে প্রলোভিত করে দমিয়ে রাখা হয়েছিল। প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তাদেরকলঙ্কিত ইতিহাস মুছে ফেলে তাদের বংশানুক্রম বিখ্যাত আরব গোত্র রাবিয়া, আনজা এবং আল-মাসালিকের সাথেসম্পৃক্ত প্রমাণ করে তাদের ইতিহাসকে বিশুদ্ধ করতে চেয়েছিল। (সউদি পরিবারের পূর্বপুরুষ যে ম্রুদা গোত্রের  ব্যাপারে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। প্রচলিত আছে যে, তারা প্রাচীনরাবিয়া গোত্রের বিশেষত ‘ওয়াইল’-এর শাখা। কিন্তু যে বিষয়ে সব ইতিহাসে বিতর্ক আছে তা হচ্ছে সউদীরাওয়াইলের কোন শাখার? বহু ঐতিহাসিক এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নজদের অধিবাসীরা বনু হানিফা গোত্রেরযারা নজদ  রিয়াদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে জোর দিয়ে বলতে চায় তারা হচ্ছে আনজা নামক বড় বেদুইন গোত্রের। নজদে বসবাসরত অন্যান্য আনজাগোত্রের পরিবারের মত তথাকথিত ম্রুদা গোত্রের কোন লিখিত বা মৌখিক তথ্যও নেই যে ম্রুদা আনজা গোত্র থেকেমাইগ্রেশন করে নজদে আসে।) বর্তমান সময়ের একজন চরম পর্যায়ের মুনাফিক হচ্ছে আমিন আল তামিমি, যে সউদী আরবের জাতীয় লাইব্রেরীরডাইরেক্টর। সে সউদী আরবের এই ইহুদী শাসকগোষ্ঠীর বংশ তালিকা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামউনার মুবারক বংশের সাথে সম্পৃক্ত করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। তার এই মিথ্যা জালিয়াতি কর্মের জন্য ১৯৪৩ সালেমিশরে নিযুক্ত সউদী আরবের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহীম আল-ফাদেলের কাছ থেকে আমিন আল তামিমি ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) হাজারমিশরীয় পাউন্ডে পুরস্কৃত হয়। সউদী রাজ পরিবারের পূর্বপুরুষ ইহুদী মোরদাখাই বহু আরবী মহিলাকে বিয়ে করে এবং তাদের ঘরে বহু সন্তানেরজন্ম হয়। সেই একই ধারাবাহিকতা বর্তমান সউদী রাজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও প্রচলিত আছে। (সউদীআরবের বাদশাহ আব্দুল আজিজের চুয়াল্লিশ জন ছেলে এবং অগণিত কন্যা সন্তান। বাদশাহ সউদের ছিল বায়ান্ন জনপুত্র এবং চুয়ান্ন জন কন্যাইহুদী মোরদাখাই-এর এক পুত্রের নাম ছিল আল-মারাক্বান কারো মতে আল মুক্বরিন।মূলত তার নাম আরবীকরণ করা হয়েছিল ইহুদী নাম মেকরেন থেকে। সেই মেক-রেন বা আল মারাক্বান বা আলমুক্বরিন এর এক পুত্র ছিল মুহম্মদ (মুহম্মদ বিন মুক্বরিন) এবং তার এক পুত্রের নাম ছিল সউদ (সউদ বিন মুহম্মদ)।সেই সউদ থেকে হয়েছে সউদী রাজবংশের নাম। সউদের বংশধরগণ বিশেষত সউদের পুত্র মুহম্মদ বিন সউদআরবের বিভিন্ন গোত্র প্রধানদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা প্রচার করতো যে, সকল আরব ধর্মীয় নেতারামুরতাদ হয়ে গেছে এবং তারা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা থেকে সরে গেছে। বিভিন্ন গোত্রের নেতারা ধর্মের নামে শিরকেমশগুল- এই অজুহাতে অনেক মুসলমানকে শহীদ করা হয়। সউদী রাজ পরিবারের নিজস্ব ইতিহাসবিদ দিয়ে রচিত The history book of Saudi familyi৯৮ থেকে ১০১পৃষ্ঠার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে যে, সউদী বংশের সবাই নজদের সকল অধিবাসীদের মুরতাদ, কাফির মনে করতো। ফলেতাদের হত্যা করা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, তাদের মহিলাদের দাসীতে পরিণত করাকে জরুরী বলে মনে করতো।মূলত সে সময় নজদের প্রধান মুহম্মদ বিন সউদ ছিল ওহাবী আক্বীদা দ্বারা বিভ্রান্ত। ওহাবী মতবাদের প্রচার ঘটে আব্দুল ওহাব নজদীর মাধ্যমে যে ছিল বনু তামিম গোত্রের (যদিও তার পূর্বপুরুষ ইহুদীছিল) তার জন্ম হয় উয়াইনিয়া গ্রামে, নজদের হুরাইমিলা শহরের পার্শ্বে, ১১১১ হিজরী অর্থাৎ ১৬৯৯ সালে। তারমৃত্যু হয় ১২০৬ হিজরী মোতাবেক ১৭৯২ সালে। প্রথমে সে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ইরাকের বসরায় যায়। পরে ইরান,ভারত, দামেস্কেও ভ্রমণ করে। সেখানে সে “নজদের শায়খ” নামে নিজেকে পরিচয় দিত। সে ছিল অত্যন্ত চতুর। ইবনেআব্দুল ওহাব নজদী বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে অনেক কিছু শেখে এবং একজন নেতা হবার স্বপ্ন পোষণ করে। ১১২৫হিজরী অর্থাৎ ১৭১৩ সালে তার সাথে পরিচয় হয় ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপারের। গুপ্তচর হ্যামপার এই ওহাবী নজদীর নেতা হবার অভিলাষ বুঝতে পেরে তার সাথে দীর্ঘ সময়ের জন্য সখ্যতা গড়েতোলে। ব্রিটিশ উপনিবেশ মন্ত্রণালয়ের শেখা অনেক পদ্ধতি এবং মিথ্যা তার উপর সে প্রয়োগ করে। হ্যামপার ওহাবীনজদীর মধ্যে সব সময় ইসলাম ধর্মের নতুন অপব্যাখ্যা শুনতে পেত এবং তার মধ্যে ভিন্ন চিন্তার এক শায়খ হবারসম্ভাবনা দেখতে পেত। আব্দুল ওহাব নজদে ফিরে এসে গ্রামের লোকদের জন্য ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিন্নচিন্তার বিভিন্ন লেখা লিখতে থাকে। সে মু’তাযিলা সম্প্রদায় এবং ব্রিটিশ গুপ্তচরের কাছ থেকে যা শিখেছিল তার উপরসে লিখতে ও বলতে থাকে। গ্রামের লোকজন এবং তাদের প্রধান ইহুদী মোরদাখাই-এর বংশধর মুহম্মদ বিন সউদতাকে অনুসরণ করতে থাকে। আরবদের কাছে বংশ পরিচয় ছিল অনেক বড় কিন’ যেহেতু সে তেমন কোনউল্লেখযোগ্য গোত্রের ছিল না তাই সে মুহম্মদ বিন সউদকে তার মত প্রচারে ব্যবহার করতে শুরু করে। যার নামদেয় সে ওহাবী মতবাদ। সে নিজেকে কাজী এবং মুহম্মদ বিন সউদকে বাদশাহ হিসেবে পরিচয় দিত। তারা দু’জনপরবর্তিতে চুক্তিতে আসে যে তাদের সন্তানরা তাদের পরে ক্ষমতায় আসবে। এ চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইবনে আব্দুলওহাবের কন্যাকে বিন সউদের পুত্রের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। ১১৫০ হিজরীতে অর্থাৎ ১৭৩৭ সালে আব্দুল ওহাবনজদীর ওহাবী মতবাদ একটা রাজনৈতিক রূপ লাভ করে সমগ্র আরবে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সউদী বাদশাহ আব্দুল আজিজ বিন মুহম্মদও ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসী ছিল এবং সে প্রথম ১৭৯১সালে মক্কা শরীফ-এর আমীর হযরত শরীফ গালিব ইফেন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। পূর্বথেকেই গোপনে তারা ওহাবী মতবাদ প্রচার করে যাচ্ছিল। তারা অনেক মুসলমানকে নিপীড়ন করে এবং শেষে হত্যাকরে। অনেক মহিলা ও শিশুদের বন্দি করে এবং তাদের সম্পদ দখল করে। যারা আব্দুল ওহাব নজদীর (যারপূর্বপুরুষও ছিল ইহুদী এবং তুরস্কের অধিবাসী) আক্বীদার সাথে মিল না রাখতো তাদেরকে তারা মুসলমান বলতোনা। এই ওহাবী নজদীর ভুল ফতওয়ার কারণে সউদী রাজ পরিবারের সন্ত্রাসী লোকজন সুন্নী অধ্যুষিত গ্রামের পরগ্রাম ধ্বংস করে ফেলে। শিশুসহ বহু মানুষ হত্যা করে, মহিলাদের উপর নিপীড়ন চালায় এমনকি গর্ভবতী মহিলাদেরউদর চিড়ে ফেলে, শিশুদের হাত পা কেটে ফেলে আগুনে নিক্ষেপ করতো। শুধু ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসী না হওয়াতেমুসলমানদের মুরতাদ আখ্যায়িত করে তাদের সকল সম্পত্তি আত্মসাৎ করতো। মূলতঃ মিথ্যা ধর্মীয় অনুশাসনের নামে এই ওহাবী আক্বীদা সম্পন্ন ইহুদীরা বিভিন্ন প্রকার নৃশংসতা চালায়। আর এইঅনুশাসনের প্রবর্তক ছিল ইহুদী মোরদাখাই, যে সন্ত্রাসের বীজ বপন করেছিল তার সময় থেকে। এই ইহুদী পরিবার১১৬৩ হিজরী সাল থেকে সউদী আরবসহ মুসলিম দেশসমূহে নৃশংস কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তারা গোটা আরব ভূ-খণ্ডের নাম তাদের পরিবারের নাম অনুসারে রাখে “সউদী আরব”। ভাবখানা এমন যে গোটাআরব তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি আর সেখানকার সকল অধিবাসী তাদের গোলাম বা ক্রীতদাস, যারা সকাল সন্ধ্যাশুধু তার প্রভুর আরাম আয়েশের জন্যই খেটে যাচ্ছে। এই সউদী রাজ পরিবার দেশের সকল প্রাকৃতিক সম্পদকে নিজের সম্পত্তি বলে বিবেচনা করে। যদি কোন সাধারণনাগরিক তাদের এই ইহুদী শাসক গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাচার এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তবে জনগণের সম্মুখেতার শিরোচ্ছেদ করা হয়। এই ইহুদী রাজ পরিবারের এক রাজকুমারী আমেরিকার ফ্লোরিডার এক বিলাস বহুল হোটেলের ৯০টি সোয়ীট(Suite) এক রাত্রির জন্য ১ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ভাড়া করে। কেউ কি তার অপচয়ের বিরুদ্ধে কথা বলতেপারবে? যদি করে তবে তার পরিণতি হবে জনসম্মুখে তরবারীর আঘাতে শিরোচ্ছেদ। ১৯৬০ সালে “সোয়াত আল আরব” মিশরের কায়রোর ব্রডকাস্টিং স্টেশন এবং ইয়েমেনের সানার ব্রডকাস্টিংস্টেশন এই সউদী রাজ পরিবারের ইহুদী পূর্বপুরুষের ব্যাপারে সত্যতা স্বীকার করে। ১৯৬৯ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন পোস্টে বাদশাহ ফায়সাল আল সউদ এই চরম সত্যটি অস্বীকার করতেপারেনি। সে বলেছিল, “আমরা সউদী রাজ পরিবার ইহুদীদের ভাই। আমরা যে কোন মুসলমান এবং যে কোনআরবীর সাথে দ্বিমত পোষণ করি, যারা ইহুদীদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে। বরং তাদের সাথে আমরাশান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই। আরব হচ্ছে সেই উৎসভূমি যেখান থেকে ইহুদীরা বিস্তার লাভ করেছিল; পরেতার বংশধররা সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে।” (দৈনিক আল ইহসান শরীফ থেকে সঙ্কলিত) লিংকঃ http://shobujbanglablog.net/17501.html 

1 comment:

  1. Latest Overseas Jobs 2020

    UK-USA-UAE-Dubai International Latest Jobs 2020

    To Work abroad is everybody's fantasy and the vast majority of the youthful and gifted residents of Pakistan s are in scan for the occupations in abroad. What's more,
    here on our site, we will give you Overseas Jobs to Pakistani in KSA, UAE, UK, Canada, and Dubai, Saudi Arabia, Abu Dhabi, Libya, Malaysia, Oman, Kuwait, UK,
    Canada and numerous different spots. Our principle thought process is to be submitted with giving you the best offices identified with Jobs
    here at our site and because of you have trust on us we are giving you our best administrations to you. We have built up this website page
    for you to encourage our cherished clients who have high capabilities, abilities and experience and want to work abroad in various nations like Saudi Arabia, KSA, UAE,
    Canada, UK, USA, Germany, and Korea and so forth.

    Most recent Overseas Jobs in Pakistan 2020

    Here at this International Jobs page of our site,
    we'll update you with all the most recent employments of various nations regularly in which you'll have all the data identified with the activity like the last date to apply,
    talk with date, scene and all the data the is fundamental for an applicant.
    The International Jobs includes the occupations for a global vocation and other worldwide work open doors for the competitors.
    Quest for worldwide and abroad employments over the world and go for your next activity today!

    ReplyDelete